×

টঙ্গীতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ॥ আহত-৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, টঙ্গী :
গাজীপুরের টঙ্গী মিলগেইট নামাবাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদিউজ্জামান বদি’র নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে চারজনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন-৫৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানি, সিরু মিয়া, পারভেজ পাটোয়ারি ও সোনিয়া আক্তার টুম্পা।
আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা সানির কাছে পাওনা টাকা সংক্রান্ত ঘটনায় বদিউজ্জামানের লোকজনের সাথে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলছিলো। এনিয়ে গতকাল সকালে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল হাশেমের মধ্যস্থতায় তার অফিসে উভয়পক্ষের ঝামেলা মিমাংসার কথা ছিলো।
কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা সানি কাউন্সিলরের অফিসে উপস্থিত না হওয়ায় বদিউজ্জামান বদি ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সানির বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাকে তুলে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি পিটুনিতে সিরু মিয়া, পারভেজ ও সোনিয়া আক্তার টুম্পা আহত হয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই হাসান একদল পুলিশ নিয়ে সানিসহ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এবিষয়ে বদিউজ্জামান বদির সাথে যোগাযোগ করলে তার নেতৃত্বে হামলার বিষয়টি অস্বিকার করেন এবং ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না বলে দাবি করেন।
এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতরা থানায় এসে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিশুকে কি বোতলে দুধ খাওয়ান?

মাতৃভাষা ডেস্ক: মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য যাবতীয় প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ থেকেই পাওয়া যায়। তাই জন্মের পরে, যত দ্রুত সম্ভব নবজাতককে মায়ের দুধ পান করানো জরুরি। শিশুর জন্মের পরে, প্রথম শাল দুধ বা হলুদ বর্ণের যে গাঢ় দুধ নিঃসৃত হয়, তাকে ‘কলোস্ট্রাম’ বলা হয়। ‘কলোস্ট্রাম’ নবজাতককে ভবিষ্যতে কয়েকটি রোগ থেকেও মুক্ত রাখে। শুধু তাই নয়, মায়ের বুকের দুধ সহজপাচ্য এবং যে তাপমাত্রায় পান করানো দরকার, সেই তাপমাত্রাতেই পাওয়া যায়। অথচ দেখা যায় কখনও নিরুপায় হয়ে আবার কখনও অপুষ্টির কারণে যথাযথ দুধ উত্পাদন না হওয়ার কারণে অনেক মা বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য হন।

অনেকেই শিশুর জন্য বাজারজাত দুধ কিনে তা খাওয়ান। কর্মরত মায়েরা আবার যেমন অনেক সময়ই দুধ বের করে তা বোতলে নিয়ে শিশুকে খাওয়ান। কিন্তু জানেন কি বোতলে দুধ খাওয়ানো কতটা ক্ষতিকর শিশুর জন্য? শুধু শিশুর জন্যই নয় একই ভাবে মায়ের জন্যও তা ক্ষতিকর। বেশির ভাগ বোতল প্লাস্টিকের তৈরি। তাই অত্যন্ত ক্ষতিকারক বিসফেনল এ (বিপিএ) যা প্লাস্টিকের একটা উপকরণ তা দুধে মিশে যেতে পারে। যদিও এখন অনেক সংস্থাই দাবি করে বিপিএ মুক্ত বোতল বানানোর। তা হলেও কিছু রাসায়নিক দুধে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় যা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে শিশুর স্বাস্থ্যে। তা ছাড়া প্রতিবার শিশুকে খাওয়ানোর আগে বোতল খুব ভাল করে পরিষ্কার করাটা জরুরি। তা না হলে বোতলে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। ঠিক মতো বোতল পরিষ্কার করা সময় সাপেক্ষও। স্তন্যপান মা এবং শিশুর মধ্যে একটি বন্ধন গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। শিশুকে বোতলে দুধ খাওয়ালে শিশু আর মায়ের মধ্যে সেই বন্ধন তৈরি হয় না। শিশু যদি বোতলে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তা হলে স্তন্যপান সাধারণত করতে চায় না। কারণ বোতলে দুধ খেতে অনেক কম কষ্ট করতে হয় শিশুদের। আর শিশু স্তন্যপান না করলে ধীরে ধীরে মাতৃদুগ্ধ তৈরিও বন্ধ হয়ে যায়।

সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের মাতার মৃত্যুতে আইজিপি’র শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরা‌তে শাহাদাতবরণকারী শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিনী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচী এবং সংসদ সদস্য জনাব শেখ হেলাল উদ্দিনের মাতা বেগম রাজিয়া নাসেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন  ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

বেগম রাজিয়া নাসের গতকাল রাতে রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আইজিপি আজ মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে বেগম রাজিয়া নাসের বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে পরম মমতায় আগলে রেখেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন এবং তাঁঁর আদর্শ সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নীরবে কাজ করেছেন।

আইজিপি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

লাঙল-জোয়ালের বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, টঙ্গী : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, বর্তমানে দেশীয় কোম্পানী বাংলাদেশে মোবাইলের মোট চাহিদার ষাট ভাগ পূরণ করছে। লাঙল-জোয়ালের বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিব, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আমরা এখন কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি। বিশ্ব কখনো কল্পনাও করে নাই বাংলাদেশ এতো দ্রুত এগিয়ে যাবে। আমাদের আগে স্বাধীন হওয়া ভারত ও পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার সক্ষমতা রাখে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশীয় পণ্য এখন ইউরোপ-অ্যামেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আর বিদেশ যেতে ইচ্চুক না। দেশে পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানী করে সুনাম অর্জন করছে।
তিনি ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ হযরত শাহজালাল (রহ.) রোডে ‘আলামিন এ- ব্রাদার্স এবং ৫স্টার ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি:’ এর নতুন কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। রোববার বিকেলে কারখানাটির নিজস্ব ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক টঙ্গী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানও অনলাইনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
কোম্পানীটির চেয়ারম্যান অলি উল্লাহর সভাপতিত্বে ও আহসানুল পান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিআরসি’র স্পেকটাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসি’র স্পেকটাম বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, পরিচালক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়া, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, টঙ্গীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে ফাইভ স্টার মোবাইল কোম্পানী দেশের মাটিতে যাত্রা শুরু করে। দেশীয় কোম্পানীটি দেশে সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্বল্প মূল্যে (৬‘শ টাকায়) মোবাইল সেট পৌছে দিতে বাজারজাত করে আসছে। বর্তমানে কোম্পানীটিতে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ শুরু করবে এবং কোম্পানীতে মাদারবোর্ডও তৈরি হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
#

বাসে অগ্নিসংযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের নাশকতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-১৮ উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতা হতে পারে। কিছু টেলিফোন কথোপকথন পাওয়া গেছে, যাতে দেখা যায় যে ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা (বিএনপি) এমনটি করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানেই তারা পরাজিত হয়েছে সেখানেই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা এ অগ্নিসংযোগ করেছিলেন, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে আমরা তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করেছি।

আসাদুজ্জামান খাঁন আরও বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর রয়েছে। দেশে আমরা কোন অরাজক পরিস্থিতি হতে দেবনা।

বিএনপি’র অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারি এজেন্টরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন-এই বক্তব্যের কোনো সত্যতা আছে বলে মনে করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪টি মামলা ও ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে ২৮ জনকে।

মহানগর পু্লিশ জানিয়েছে, বাসে আগুন দেয়ায় দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়েছে। গান পাউডার নাকি পেট্রোল বোমা সেটি রিপোর্ট পেলে পরে জানা যাবে। রাজধানীতে পুলিশি টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

মুখেমুখে নৌকার বুলি, ভোট বাক্স খালি

মোহাম্মদ আলম : বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সবিনয় অনুরোধ করবো কর্মী সমর্থক নিয়ে নতুন করে ভাবতে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। নাগরিক সুবিধা অন্য যে কোন সময়ের চাইতে বেশি। করোনা মোকাবেলায় সরকার সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে। অনেক কিছুতেই বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। তারপরও জনগণ খুশি না কেন ? ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। মাঠে ঘাটে নৌকার গগনবিদারী স্লোগান। ভোট বাক্স কেন খালি। আওয়ামী লীগের হাজারে বিজারে নেতাকর্মী সমর্থকরা কোথায় গেলো।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে ঢাকা-১৮ আসনে মোট ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১১৬ জন ভোটার। ভোট পড়েছে মাত্র ৮০ হাজার।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন ভোট দিচ্ছে না। তাহলে কি আওয়ামী লীগের পতাকাতলে হাইব্রিড রুপি নেতা কর্মীরা শুধুই সুবিধার জন্য ভিড়েছে। সুযোগ পেলে তারা কি আবার মুখ ফেরাবে। তা না হলে ভোট দেবার ক্ষেত্রে এমন অনিহা কেন !

বিরোধী দলগুলোর সাংগঠনিক দূর্বলতা তলানিতে। অদুর ভবিষ্যতে আবার কতদিনে তারা সেই শক্তি অর্জন করবে তারও কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী দলগুলোর সাংগঠনিক ব্যর্থতাও এর জন্য দায়ি।

ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে মাত্র ১৪ দশমিক ৫৭ ভাগ ভোট পরেছে। তবে সেই তুলনায় সিরাজগঞ্জ-১ আসনে শতকরা ৫৫ ভাগ অনেক ভাল। সম্প্রতি ঢাকা-১০ আসনে ভোট পরেছিল ১৫ শতাংশ। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। নানা কারনে শুন্য হওয়ায় এসব স্থানে উপ-নির্বাচন হলো। হতে পারে উপ-নির্বাচন নিয়ে জনসাধারণের তেমন আগ্রহ ছিলো না। তবে এটা একটা কারন মাত্র। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোট প্রয়োগের জন্য জনসাধারণকে আসতে হবে। এটা নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

গতকাল নিজের ভোট প্রয়োগ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটার কম হওয়ার অনেক সমীকরণ থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটা বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন।’ এটা স্রেফ দায় এড়ানো। জনসাধারণকে ভোট দিতে উদ্ভুদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের কর্মসুচি রয়েছে। তা জেনেও তিনি একথা বলেছেন।

ভোট নিয়ে সুশিল সমাজেরও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। গণমাধ্যমে লেখালেখি বা আলোচনা তুলনামূলক কম। এটা অশনিসংকেত। সমস্যা রয়েছে। তবে নিরবতা কোন সমাধান নয়। নির্বাচনী বুথে কেহ এলোই না। এটা কেমন কথা।

ভোট নাগরিক অধিকার। ভোট প্রয়োগ করা একজন নাগরিকের দায়িত্ব। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজে ভোট দেব। অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহিত করবো।

বন্ধুসভা আমার বন্ধু

শতাব্দী আলম : বন্ধুসভা। উচ্চারন করতেই সহজ-সরল-সুখময় অনুভুতি হয়। বন্ধুসভা একটি সংগঠন। এর সাথে সম্পৃক্ত বন্ধুরাই এর প্রাণ। আগ্রহী সবাইকে অতি সহজেই আপন করে নেবার অদ্ভুত ক্ষমতা বন্ধুসভায়। যে কোন প্রকার প্রতিভা বিকাশে বন্ধুসভা অকৃপণ। আমার বন্ধু বন্ধুসভা।

একেবারে শুরুর দিকে নবাবগঞ্জ বন্ধু সভার সাথে আমি সম্পৃক্ত হই। সেবছরই মৌচাক স্কাউট জাম্বুরীতে ক্যাম্পিংএ যাবার সুযোগ হয়। মনের পর্দায় স্লাইডিং হচ্ছে। তাবুতে রাত কাটানো। সেই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষ। মঞ্চে পরিবেশনা, প্রতিযোগীতা, ক্যাম্প ফায়ার। প্রিয় লেখক আনিসুল হকের সাথে মেয়েদের ছবি এখনো স্মৃতি হিসেবে ফ্রেমে বাঁধানো।

ও হ্যাঁ ! আমার কাছে আরো একটি কারনে বিশেষ সেই স্মৃতি। কারন আমার দুই কন্যা আয়শা ও মনিকাকে সাথে নিয়েছিলাম। একই তাবুতে আমরা ৭/৮ জন ঘুমিয়েছি। মেয়েদেরও মনে সেই স্মৃতি এখনো অমলিন।

বন্ধুসভার সাথে থাকতে থাকতেই টঙ্গীতে প্রথম আলোর সাথে সাংবাদিকতা শুরু করি। সেই যে শুরু। সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। যতই দিন যাচ্ছে বন্ধুসভার প্রাসঙ্গিকতা প্রবল হয়।

একজনের কথা না বললেই নয়। রওশন ভাই। দুঃখিত আমাদের বন্ধু। একদিন জানতে চাইলাম, ভাই ভাল কাজ করতে চাই। কি করা যায়? তিনি মুহুর্তেই উত্তর দিলেন, রাস্তায় যখনই কলার চোকলা দেখবা পরিস্কার করবা। হ্যাঁ রওশন ভাই। আমি এটা সব সময় করি। শুধু চোকলাই না । আমার আশপাশের ময়লা আবর্জনা আমি পরিস্কার করি। আমার বাসার সব কিছু নিয়মিত আমি পরিস্কার করি। প্রতি সপ্তাহে বাথরুম চার দেয়াল এবং বেসিনগুলোসহ পরিস্কার করি। ভাল কাজ করতে বন্ধুসভা থেকে অনুপ্রাণিত হই। বন্ধুসভার কাছে অনেক ঋনী। বন্ধুসভা আমার ভাল বন্ধু।


১১/১১/২০২০

৬ বছরের আরহাম গিনেস বুকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : খুদে বালক আরহাম ওম তালসানিয়া। বয়স মাত্র ৬ বছর। পড়াশোনা দ্বিতীয় শ্রেণিতে। এই বয়সে এখন অন্যদের মতো সে–ও ঘরবন্দী। কিন্তু সে সময়টি কাজে লাগিয়েছে। পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করে ফেলেছে সে। এ কারণে খুদে এই শিক্ষার্থীর নাম উঠে গেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

তার বাড়ি ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগামার এখন সে। ভবিষ্যতে ব্যবসায়ে উদ্যোক্তা‌ ‌হতে চায় আরহাম তালসানিয়া।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আরহাম ওম তালসানিয়া ভারতের পিয়ারসন ভিইউই টেস্ট সেন্টারে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ পরীক্ষায় পাস করার পরই বিশ্বের সবচেয়ে খুদে কম্পিউটার প্রোগামার হিসেবে নাম ওঠে আরহামের।

এখন যে কারও মনে হতে পারে এত অল্প বয়সে কীভাবে প্রোগ্রামিং শিখল খুদে আরহাম।‌ এক সাক্ষাৎকারে সে নিজেই জানিয়েছে, কীভাবে অসাধ্য সাধন করেছে সে।

আরহাম এএনআইকে জানায়, ‘‌আমার বাবা আমাকে কোডিং শিখিয়েছে। দু‌বছর বয়সেই আমি ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারতাম। তিন বছর বয়সে আমার আইওএস এবং ইউন্ডোজ (iOS এবং Windows) গ্যাজেট ছিল। পরে জানতে পারি আমার বাবা পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করেন।‌’‌

বাবার কাছ থেকেই পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে নেয় আরহাম। এরপরই নিজেই ছোট ছোট গেম বানানো শুরু করে সে। পরে নিজের কাজ বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠায় আরহাম। কয়েক মাস পরই পাইথনের পক্ষ থেকে আরহামের ওই কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপরই রেকর্ড বুকে নাম উঠল তার।

ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা ওম তালসানিয়াও। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গ্যাজেটের প্রতি ওর বিশেষ আকর্ষণ ছিল। ট্যাবলেটে গেম খেলত। আমি ওকে প্রাথমিক কিছু কোডিং শিখিয়েছিলাম। তার সাহায্যে নিজেই গেম বানিয়ে খেলত আরহাম।’‌
আরহাম বলে, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাইকে সহায়তা করতে চাই। কোডিংয়ের জন্য অ্যাপস, গেমস তৈরি করতে চাই। আমি অভাবীদের সাহায্য করতে চাই।’

ওম তালসানিয়াও বলেন, ‘আমি তাকে প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখিয়ে দিয়েছিলাম। সে তার নিজস্ব কৌশলে ছোট ছোট গেম তৈরি করা শুরু করেছিল। সে একটি কাজ করে মাইক্রোসফট প্রযুক্তির সহযোগী হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছিল।’

জাতীয় সমবায় পুরস্কার পা‌চ্ছে বাংলা‌দেশ পু‌লিশের স‌মি‌তি পলও‌য়েল

ডেস্ক : বাংলাদেশ পুলিশ কোপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (পলওয়েল) ‘কর্মকর্তা/কর্মচারী, পরিবহন শ্রমিক’ সমবায় শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসেবে ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৯’ এর জন্য মনোনীত হয়েছে।


বাংলা‌দেশ পু‌লিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্মকর্তা মো : সোহেল রানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামীকাল শনিবার ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২০ এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করবেন।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ও পলওয়েল এর চেয়ারম্যান ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।

পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক এবং সম্মাননা পত্র প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, পলওয়েল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কল্যাণধর্মী একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান।

ছাতিম সুবাসে মাতুয়ারা

অ আ আবীর আকাশ : সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে গেছে দারুণ এক সুন্দর সুগন্ধে। ইট পাথরের শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের পরতে পরতে এমন কোন জায়গা নেই যে, এই দারুণ মিষ্টি সুগন্ধে মেতে উঠেনি। এমন কোন নাগরিক তথা জীব-জানোয়ার নেই যে, এই মিষ্টি সুগন্ধ তার নাকে এসে মিলায়নি। হঠাৎ করে তাকে বিমোহিত করেনি। পথিক মোহিত হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যায় ছন্দোবদ্ধ সুগন্ধে। সুগন্ধটি কিসের, কে বলতে পারেন?


শরীরের দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রান পেতে কেউ কেউ সুগন্ধ মাখান। কিন্তু পৃথিবীজোড়া সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছেন কে? কত টাকার সুগন্ধ হলে সারা পৃথিবী সন্ধ্যার পুর্বাহ্ন থেকে পরদিন সকালের সূর্য তেজস্ক্রিয় ছড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত পৃথিবীময় সুগন্ধে ভরিয়ে দিতে পারে।
চন্দনকুটির আমার ভাঙা বাড়ীর দুপাশে দুইটা ছাতিম গাছ লাগিয়েছি পুষ্পঘ্রাণে মাতোয়ারা হওয়ার আশায়। সত্যি দারুন সুমিষ্টঘ্রাণে সুখনিদ্রা যাই। দীর্ঘ রজনী জেগে যখন সাহিত্যভূবনে ডুবে থাকি তখন আমাকে আলোড়িত করে ছাতিম সুবাস। পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ইমতিয়াজ যখন জানতে পারলো ছাতিম একটি প্রকৃতিবান্ধব বৃক্ষ,সুবাসিত পুষ্পকরথ তখন থেকে সেও গাছের প্রতি যত্নবান হতে শুরু করলো। প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া আফসানা মীম তানহা বললো, আব্বু আমাকে দু’থোকা ফুল পেড়ে দেন।একথা শুনে পাশ থেকে ইমতিয়াজ তাকে বোঝাতে থাকে -না, মনি ফুলেরা রাতে আমাদেরকে সুবাস দিবো।ফুল ছিঁড়লে আর ঘ্রাণ ছড়াবে না,সুবাস দিবো না। তুমিও পড়তে বসলে আর ছাতিমের সুমিষ্টি সুবাস পাবে না। একথা শুনে মীম বললো, আচ্ছা ঠিক আছে, আমি আর ফুল ছিঁড়বো না।


এমন একটি পুষ্প-বৃক্ষ যেখানে থাকে সে নিজেই জানান দেয় তার অবস্থানের কথা। ছড়িয়ে দেয় তার পুষ্পঘ্রাণ। তাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হয়না। দু’শ তিন’শ গজ দূরে থাকলেও বলে দেয়া যায় পুষ্প-বৃক্ষটি কোথায় রয়েছে। সুগন্ধ ছড়ানো পুষ্প-বৃক্ষটির নাম ছাতিম।
বাংলায় ছাতিম গাছ বলা হয়। সংস্কৃতে নাম সপ্তপর্ণী। ছাতিম চির সবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা বিশ থেকে পঁচিশ মিটার, দুধের মতো সাদা তেতো রস থাকে। ছাল অসমতল ধূসর বর্ণ, শাখা বিশিষ্ট। ডালপালা লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠে, স্তরসৃষ্টি করেও এক রকম নিবিড় ঘন আবেশ রচনা করে। গন্ধের মধ্যে নেশার ঝাঁঝ আছে। ছাতিম এইভাবে নিজেকে ঘোষণা করে। 


গুড়ি : মোটা মনে হয় যেন শাখা দিয়ে ঠেকানো। পাতা দশ থেকে পনের সেমি লম্বা। পত্র সংখ্যা সাত। ফুল : ছোট সাদা থোকায় থোকায় ফোটে।
ফল : ত্রিশ থেকে ষাট সেমি লম্বা সরু, এক বৃন্তে দুটি করে ঝুলে থাকে।
ছাতিম বা সপ্তপর্ণী চির সবুজ বড় গাছ। শরতে তার ফুল ফোটে। শরৎ শঙ্কর ঋতু। দিনে গরম-রাতে ঠান্ডা, শহরে রাতের ঠান্ডা অনুভব কম হলেও গ্রামে তার প্রভাব প্রবল। এ সময় উল্লেখযোগ্য ফুল বলতে শিউলী ও ছাতিম। 
ছাতিম যখন ফোটে তার সু-গন্ধের প্লাবনে চারিদিক মেতে ওঠে। ছাতিমের এই সুবাসিত ভালোবাসাকে অবহেলা করে কার সাধ্য। ফুলের স্তবকে- স্তবকে ফোটার নির্ঝর লক্ষ্য করার মতো। বহুদূর পর্যন্ত সে প্রবল উগ্র গন্ধের ঐশ্বর্য ছড়ায়।
ফুল অনুজ্জ্বল, সবুজাভ সাদা। দূর থেকে হঠাৎ দেখা যায় না। কিন্তু সবগুলো ডালের আগায় সাতটি পাতার বুকে ফুলগুলো বের হয় ছাতার মতো গোল হয়ে। ছাতিম নাম সার্থক এইজন্য। তার ছায়া নিবিড়, গন্ধ নিবিড়।


ছাতিম ফুলের নিচের অংশ নলের মতো এবং নল-মুথের পাঁচটি পাঁপড়ি ইস্যু বাঁকানো। পরাগচক্র গভীরে থাকে। গর্ভকোষ দু’টি আংশিক যুক্ত থাকে, এজন্য ফল জোড় বাঁধা। ফল সজনের মতো বা বরবটির মতো। ফুলের মতোই ফল থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। সারা গাছে ঝুলে থাকা ফল দেখার মতো। 


ঝুলে থাকা ফলগুলি যেন সুন্দরী রমনীর আলুলায়িত চুল। বসন্তের দিকে ফল পাকে। বীজ রোমশ ও হাওয়ায় ভেসে চলে যায়। বীজ থেকে সহজে চারা জন্মে। গাছের বৃদ্ধিও হয় দ্রুত। ছাতিমের আকৃতিতে একটি বৈশিষ্ট্য আছে। তার ডালপালায় ছড়ানো ভঙ্গিটি কয়েকটি জোড়া দেওয়া ছাতার মতো।
এর সরল উন্নত কান্ড কিছুদূর উপরে ওঠে হঠাৎ শাখা-উপশাখায় একটি চাঁদোয়ার মতো সৃষ্টি করে আবার এক লাফে একে ছাড়িয়ে অনেক দূর উঠে এমনি করে ঘন পাতার কয়েকটি চাঁদোয়ার সৃষ্টি করে। চন্দ্রা তৈরির এই বৈশিষ্ট্য শুধু ডালপালায় নয় তার পাতাও বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে। একই গ্রন্থি সাতটি পাতার চক্রাকার বিন্যাস শাখার মতোই সুন্দর। 
শাখাগুলো ডাঁটার চারপাশে চক্রাকারে কিছু সংখ্যক পাতা বা ফুল দ্বারা সাজানো থাকে। ঠিক যেন ছাতার শিকে। ফুল ও সে রকম চক্রাকার। ছাতিমের সংস্কৃতিনাম সপ্তপর্ণী। পাতা সাধারণত সাতটি হয় বলে এই নাম। আর ইংরেজিতে ডেভিলস্ ট্রি ও ভিটাবার্ক ট্রি। উদ্ভিদতাত্ত্বিক ‘স্কলারিস’ নামের অর্থ এই যে, আগে এই গাছের কাঠ দিয়ে স্কুলের ছাত্রদের জন্য শ্লেট তৈরি হতো। সাধারণ মানুষের কল্পনায় এই গাছের একটি যাদুকরী দুষ্টশক্তি জড়িত আছে মনে করে বলে এর অপর নাম শয়তান গাছ। পশ্চিম ভারতের লোকেরা এর ছায়ায় বসতে চায় না।
আদিবাসী লোকেরা তো আরো একদম বাড়িয়ে আছে, তারা এই গাছের ছায়াও মাড়ায় না। এই গাছের তলায় ঘুমানো মানে নির্ঘাত মৃত্যু। গাছের প্রহরী শয়তান এই সুযোগে তার কাজটি করে নেয় বলে তাদের বিশ্বাস। শয়তান এই গাছ পাহারা দেয় মনে করে বলে কেউ এই গাছের ক্ষতিও করে না।
ছাতিমের পুরুছালের ভিতরটা সাদা দানাদার, কিন্তু উপরটা খসখসে। সারা গাছে সাদা দুধের মতো আঠাঁ বা ক্ষীর আছে। ছাল, পাতা, ফুল, ক্ষীর ওষুধে ব্যবহৃত হয়। 
কুষ্ঠে, জ্বরে, সান্দমেহে, হিক্কানিঃশ্বাসে, দাঁতের যন্ত্রণায়, হাঁপানিতে, স্তনদুধের স্বল্পতায়, গাঁটের ব্যথায়, সর্দি বসায়, শ্বাসকষ্টে, দুষ্টব্রণে ছাতিমের নানা অংশ ঔষধের কাজে ব্যবহার করা হয়। জ্বর ধীরে ধীরে নামায় বলে- ম্যালেরিয়াতেও উপকারী। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ।
ছাতিম যেন এসব রোগে ছাতার মতো ছায়া দিয়ে আগলে রাখে। ছাতিমের কাঠ দিয়ে খুব সাধারণ ফার্নিচার, প্যাকিংকেস, চায়ের পেটি, পেনসিল এবং দেশলাইয়ের কাঠি তৈরি হয়। ছাতিম গাছ সহজে মরে না। ডালপালা কাটলেও আবার দ্রুত ডাল বের হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তি নিকেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর প্রমাণপত্রে সপ্তপর্ণীর পত্র দেওয়া হয়।

উপকারিতা:
১। ছাতিম গাছের ছালচূর্ণ করে গুলঞ্চের রস মিশিয়ে খেলে এবং এই গাছের ছাল থেঁতো করে সিদ্ধ করে এই পানি দিয়ে গোসল করলে কুষ্ঠ রোগ ভালো হয়।
২। জ্বর হলে ছাতিম গাছের ছাল সিদ্ধ করে সেই পানি দুইবেলা সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। ছাতিম গাছের রস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়।
৪। দাঁতে পোকার যন্ত্রণা হলে ছাতিমের আঠা পোকা লাগা দাঁতের ছিদ্রে দিন উপকার পাবেন।
৫। হাঁপানি হলে ছাতিমের ফুল চূর্ণ করে পিপুল চূর্ণ করে দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে হাঁপানি কমে যায়।
৬। বাতের ব্যথা হলে ছাতিমের ছাল সিদ্ধ করে সেবন করলে ব্যথা কমে যায়।
৭। এসিডিটি হলে ছাতিমের ছাল বা ফুল চূর্ণ করে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

তথ্য সহযোগিতাঃ ইন্টারনেট।

লেখকঃ কবি প্রাবন্ধিক কলামিস্ট মানবাধিকার ও সাংবাদিক।