×

ভর্তি নিয়ে অভিভাবকের উদ্বিগ্নতা দুর হলো

ভর্তি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ঘোষণায় অভিভাবকদের উদ্বিগ্নতা দুর হলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণির মতো সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি (শিক্ষামন্ত্রী)।

গত কয়েকদিন যাবৎ ভর্তিচ্ছু সন্তান রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন অভিভাবকের ফোন পেয়েছি। ভর্তি নিয়ে তাদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছিল। করোনা মহামারির কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ। বছরটিই এভাবে পার হলো। পরবর্তি ক্লাসে উন্নিত হওয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বিগ্নতা থাকাই স্বাভাবিক।

সরকার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও অটো প্রমোশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছে। করোনা মহামারি সাময়িকভাবে জনজীবনে স্থবিরতা আনলেও সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারনে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থমকে যায়নি। দূর শিক্ষনের মাধ্যমে পাঠদান চলছে।

অভিভাবকদেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থী যাতে পাঠে মনোযোগী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামলা ॥ থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টঙ্গী : গাজীপুরের টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে জুম্মান (১৯) নামে এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় পূর্ব আরিচপুর এলাকার বউ বাজার শাহী মসজিদের সামনে এঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার খুটিনাটি বিষয়াদী নিয়ে অনেকদিন যাবত জনৈক লন্ডন বাপ্পি (৩২), পাপ্পু (৩০), বাঘা টম নিরব রাজীব (২৬), পাতা সাগর (২১), রবিন (২১), রাশেদ (১৮), জুবায়ের(১৯), মাহিন (১৯), সজিব (১৯), রমজানসহ (২৭) এলাকার কতিপয় যুবকের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই জের ধরে গত সোমবার রাতে পূর্ব আরিচপুর, বউ বাজার শাহী মসজিদের সামনে দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় লন্ডর বাপ্পির নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল লাঠিসোটা ও দেশীও অস্ত্রসহ আমার পথরোধ করে। এনিয়ে তাদের সাতে আমার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উক্ত সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমি গুরতর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পরি আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলিয়া যায়।


এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক মো : মানিক মাহমুদ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে আইজিপি’র শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

আজ মঙ্গলবার বাংলা‌দেশ পু‌লিশের এআই‌জি (মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সোহেল রানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।

আইজিপি শোকবার্তায় বলেন, খন্দকার মুনীরুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সাংবাদিকতা শুরু করেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি এক অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।

আইজিপি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, খন্দকার মুনীরুজ্জামান (৭২) আজ ২৪ নভেম্বর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

সৌন্দর্য-চিকিৎসায় মাইক্রোডার্মাব্রেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : যারা একটু বেশি সৌন্দর্য সচেতন, তারা ত্বকের মালিন্য দূর করতে ফেসিয়ালের পাশাপাশি মাইক্রোডার্মাব্রেশনের সহায়তা নিচ্ছেন। প্রায় ননইনভেসিভ (শরীরে ছুরি, কাঁচি, সূচ ঢোকানো হয় না) এই প্রক্রিয়ায় সহজে, কম সময়ে ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভাবে চেহারার সরু ভাঁজ, বলিরেখা, এজ স্পট, ফ্রেকলস, ওপেন পোরস, অসুখ বা ব্রনের দাগ সব ম্যাজিকের মতো মুছে ফেলা যায়। মুখে তো বটেই, পছন্দসই পোশাক পরার অভিপ্রায়ে অনেকে হাতে, পায়ে বা শরীরের অন্য অংশেও মাইক্রোডার্মাব্রেশন করিয়ে নেন।

মাইক্রোটেকনিকের কেরামতি : আগে ত্বক সুন্দর করে তোলার চিকিৎসার মধ্যে ডার্মাব্রেশনের খুব চল ছিল। ত্বকে দাগ, ছোপ, গর্ত থাকলে সেটিকে সমান করাতে গিয়ে ‘ডার্মিস’কে ‘অ্যাব্রেট’ করা হত। অর্থাৎ চামড়ার উপরের অংশটাকে কেটে তুলে ফেলা হত। আলু, বেগুনে পোকা থাকলে যেমন যে স্তরে পোকার অংশটি রয়েছে, সেটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, এ-ও অনেকটা তাই। শুনতে অদ্ভুত হলেও প্রক্রিয়াটি দারুণ কার্যকর। তবে ঝঞ্ঝাট ছিল প্রচুর। অজ্ঞান করার দরকার হত, ভর্তি থাকতে হত, বাইরে বেরোনোয় বিধিনিষেধ থাকত। এটিরই একটি স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত ও আধুনিকতর ‘মাইক্রোটেকনিক’ হল মাইক্রোডার্মাব্রেশন। সূক্ষ্ম যন্ত্র ও উচ্চমানের উপকরণের সাহায্যে দাগ-গর্তযুক্ত ত্বকের উপরের অংশ তুলে দেওয়া হয়।

পদ্ধতির প্রকারভেদ : এটি একটি ব্যথাহীন মাইক্রোইনভেসিভ পদ্ধতি। অর্থাৎ এফএনএসি (ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি)-র সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করা হয়। অজ্ঞান করার বা ইঞ্জেকশনের দরকার হয় না। তুলোয় অ্যালকোহল-বেসড ক্লিনার নিয়ে ত্বক ভাল ভাবে পরিষ্কার করে দাগ-গর্ত-ক্ষত মেরামত করা হয়।

ডায়মন্ডটিপ হ্যান্ডপিস : যন্ত্রের মুখে হিরে থাকে। চাপ প্রয়োগ করে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন করায়। যে অংশটি উঠে গেল, তা যন্ত্রই সাফ করে দেয়। অ্যাপ্লিকেটর এতটাই নিরাপদ যে, চোখের কাছাকাছি অংশে অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।

ক্রিস্টাল মাইক্রোডার্মাব্রেশন : অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম বাইকার্বনেট ইত্যাদি স্ফটিকের সূক্ষ্ম গুঁড়ো স্প্রে করে চাপ দেওয়া হয়। ত্বকের মৃত কোষ উঠে আসে। মেশিনের ভ্যাকুয়াম সাকশন প্রক্রিয়ায় মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেয়।

হাইড্রোডার্মাব্রেশন : পরিস্রুত জল ব্যবহার করে ডার্মাব্রেশন করা হয়।

মোটামুটি প্রত্যেক সিটিংয়ে পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে। এই চিকিৎসার খরচ নির্ভর করে কোন মেশিনে করছেন, ত্বকের অবস্থা কেমন, কতক্ষণ ধরে হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ের উপরে। প্রত্যেক সিটিংয়ে ৩০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

কয়েকটি সাবধানতা : এই প্রক্রিয়াগুলির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে লালচে বা ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। বরফ ঘষলে ঠিক হয়ে যাবে। চিকিৎসার পরে বাড়িতে থাকলে দিনে অন্তত দুই-তিন বার ময়শ্চারাইজ়ার লাগাতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।

১৮ বছর হলে মাইক্রোডার্মাব্রেশন করানো যেতে পারে। এক মাস অন্তর এটি করালে ভাল। তবে, যাঁদের ত্বক ততটা সেনসিটিভ নয়, পিগমেন্টেশন বা ফোটোড্যামেজ (রোদে বেরোলে ক্ষতি) তেমন হয় না— তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুফল আরও কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতেই পারে।

অভিবাদন তথ্যমন্ত্রী, করোনা যুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত আছি

কাজের স্বীকৃতি সবারই ভাল লাগে। নিজেকে গর্বিত মনে হয়। বিশেষভাবে করোনা মহামারির প্রথম দিন থেকেই আমার অনেক সহকর্মীগণ স্বাভাবিকের চাইতে বেশী মনযোগে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করেছে। যুদ্ধ, মহামারি অথবা মানবিক বিষয়ে দ্রুত প্রতিকৃয়া জানানোই হচ্ছে একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিকের পরিচয়। এই করোনা মহামারিতে গণমাধ্যমকর্মীরা বেশ ভালভাবেই সেটি করেছে।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যম কর্মীদের করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন। মন্ত্রী বলেন, “করোনার শুরু থেকেই ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকরা কাজ করে চলেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। আমি কোনো সাংবাদিককে ভীতি নিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকতে দেখি নাই। এতে করে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আমি কখনো ধারণা করতে পারিনি।

তথ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালে নিহত সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি
চাকুরিচ্যুত সাংবাদিক যারা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না, সেই সাংবাদিকদের এককালীন সহায়তা দেয়া হয়। সেটি এখনও অব্যাহত আছে। তাই বিজেসিকে তিনি অনুরোধ করেন তাদের তালিকা যদি দেন তাহলে তিনি সহায়তা করতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাংবাদিক হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানাই। করোনাকালে সাংবাদিকরা যেমন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অগ্রনি ভুমিকা রেখেছে। তাদের বিপদেও তিনি(প্রধানমন্ত্রী) পাশে দাড়িয়েছেন।

মাননীয় তথ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়ে এই অঙ্গিকার করছি। আমরা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে এভাবে সর্বদা সরকারের পাশে রয়েছি। একইসাথে করোনা মহামারির শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এই প্রত্যাসা।

দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের ইন্তেকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে খন্দকার মুনীরুজ্জামান মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ২১ দিন ভর্তি ছিলেন। করোনা থেকে তিনি সেরে উঠেছিলেন। কিন্তু করোনা–পরবর্তী নানা জটিলতায় তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী চিকিৎসক।

দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মৃত্যুতে সাংবাদিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

সংবাদ জানিয়েছে, খন্দকার মুনীরুজ্জামান ১৯৪৮ সালের ১২ মার্চ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। একই সময়ে তিনি বাম ঘরানার রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। দৈনিক সংবাদে তিনি সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন। তিনি দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। খন্দকার মুনীরুজ্জামান সাংবাদিকতা ছাড়াও কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, চিত্র সমালোচনা ও নিয়মিত কলাম লিখতেন।

পিল খাওয়া নিরাপদ?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : ষাটের দশকে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কন্ট্রাসেপটিভ পিলকে ছাড়পত্র দেওয়ার ঘটনা মেয়েদের জীবনে একটা ছোটখাটো বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলেছিল। ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল জনপ্রিয়।

কী ভাবে কাজ করে : কম্বাইনড পিল মূলত তিন ভাবে কাজ করে। এটি ওভিউলেশন আটকে দেয়। জরায়ুর মুখ বা সার্ভিক্সে থাকা মিউকাসের পর্দাটিকে মোটা করে দেয়, যাতে স্পার্ম তা ভেদ করে ঢুকতে না পারে। এবং জরায়ুর যে অংশে সন্তান থাকে, সেই লাইনিংকেও পাতলা করে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, এটিই সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে প্রেগন্যান্সি আটকাতে পারে, যদি ঠিক ভাবে খাওয়া হয়। কম্বাইনড পিলের ব্যর্থতার উদাহরণও খুবই কম।

খাওয়ার নিয়ম : কম্বাইনড পিল টানা তিন সপ্তাহ খেয়ে যেতে হয়। সাধারণত ডিনারের পর খাওয়াই নিয়ম। এখন লো ডোজ় পিল হয় বলে নির্দিষ্ট সময় মেনে খেতে হয়। সেটি না হলেই ব্রেকথ্রু ব্লিডিং হতে পারে। যদি কেউ রোজ রাত ১০টায় এই পিল নেন, তা হলে ১০টার এক ঘণ্টা এদিক ওদিক করা যেতে পারে। কিন্তু তার বেশি না করাই ভাল। কোনও দিন নিতে ভুলে গেলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পিলটি খেতে হবে, আবার রাতের পিলটি নিয়ম মতো খেয়ে নিতে হবে। দু’দিন ভুলে গেলে পরবর্তী অন্তত সাত দিন কন্ট্রাসেপটিভ পিলের সঙ্গে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কনডমও ব্যবহার করা উচিত। ২১ দিন টানা খেয়ে এই পিল বন্ধ করলে পিরিয়ডস শুরু হয়। আবার পিরিয়ডসের তৃতীয় বা চতুর্থ দিন থেকে অন্য প্যাকেটটি ব্যবহার করতে হবে। কিছু পিলের ক্ষেত্রে ২৮টি ট্যাবলেটের প্যাকেটও পাওয়া যায়। সেটি একটানা খেয়ে যেতে হয়। নির্দিষ্ট সময়মতো পিরিয়ডস হয়ে যায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ধরনের পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। তাও কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, খিদে না পাওয়া, সামান্য স্পটিং বা ব্লিডিং দেখা যেতে পারে। সাধারণত পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি কমে আসে। অবশ্য কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন পিল নিলে ভ্যাজ়াইনাল ড্রাইনেসের সমস্যা দেখা দেয়, যৌনমিলনে অনীহাও দেখা যেতে পারে। তবে, এই ধরনের সমস্যা খুবই কম। বরং নিয়মিত পিল নেওয়ার ফলে দেখা গিয়েছে, ওভারিয়ান ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। এমনকি পিল খাওয়া বন্ধ করার পরের পাঁচ থেকে দশ বছর ওভারিয়ান ক্যানসারের ভয়ও কম থাকে।

কিন্তু হাই ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবিটিস, মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে পিল খাওয়া যায় না। হাই ব্লাডপ্রেশার থাকলে নিয়মিত প্রেশার চেক করতে বলা হয়। প্রেশার বেড়ে গেলেই পিল বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়।

মনে রাখা জরুরি : অনেকে মনে করে, টানা পিল খেয়ে গেলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, যা ঠিক নয়। ডা. চট্টোপাধ্যায়ের মতে, যে মাসে পিল বন্ধ করা হচ্ছে, ওভিউলেশন তার পরের মাস থেকেই শুরু হতে পারে। সুতরাং, প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা হয় না। অনেকে ইমার্জেন্সি পিলে অত্যধিক ভরসা করেন। ঘটনা হল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল নিলে তা যতটা কার্যকর, যত দেরি হবে, তার কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।

দেখা গিয়েছে, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ইউটেরাস হয়তো প্রেগন্যান্সি আটকাচ্ছে, কিন্তু প্রেগন্যান্সি ফ্যালোপিয়ান টিউবে চলে আসছে। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। এবং এ ক্ষেত্রে প্রসূতির প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে। ফলে, ইমার্জেন্সি পিলে ভরসা করা উচিত নয়।

এই কারণেই এখনও চিকিৎসকরা প্রেগন্যান্সি রোধে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে কম্বাইনড পিলের উপরেই ভরসা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত পরিবারের সদস্যদের জন্য সমবেদনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের জন্য সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি চালকের ভুলে এভাবে অকালে প্রাণ হারানো কিভাবে রোধ করা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

আমরা জানতে পেরেছি ওই কৃষকরা বরেন্দ্র এলাকায় ধান কেটে মজুরি হিসেবে পাওয়া ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রান্তিক ওইসব কৃষকের পরিবার এমনিতেই দারিদ্রতায় জর্জরিত। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকাল প্রয়ানে না জানি কি গভির সমস্যায় পতিত হলো। প্রশাসনের প্রতি বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে সহায়তার ব্যবস্থা করতে।

প্রকৃতার্থে দূর্ঘটনা রোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরী। একদিকে ঝুকিপূর্ণ বাহন ভটভটি। তারপর অতিরিক্ত বোঝাই করে তার উপর চড়ে ভ্রমণ যে জীবনের জন্য কতটা নির্মম হতে পারে এই দূর্ঘটনা থেকে অনেকের শিক্ষা নেয়া উচিত। ধান কাটার সিজনে বরেন্দ্র অঞ্চলে বোঝাই ভটভটি দূর্ঘটনার কথা প্রায়ই আমরা শুনতে পাই। জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ ভয়ংকর যাতায়াত ব্যবস্থা রোধ করতে হবে।

ঢাকা থেকে সড়ক পথে বের হলেই চোখ জুড়িয়ে যায়

বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুরএ চলমান হাজার কোটি টাকার বর্দ্ধিত উন্নয়ন বরাদ্দ ৩০৫ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন হলো। একটি উন্নত রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতবাবে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশের প্রান্তিক জনপদে দৃশ্যমান হচ্ছে উন্নয়ন। এটি তার সবশেষ উদ্যোগ। এটি চলমান প্রকল্প। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ সব দিকে উন্নয়ন হচ্ছে। ঢাকা থেকে সড়কপথে যেদিকেই যাবেন অবকাঠামো উন্নয়নের দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়।

সম্প্রতি বাগেরহাট যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ-ভাঙ্গা সড়ক হয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমরা বাংলাদেশের কোন সড়কে চলছি। মসৃণ এবং পরিচ্ছন্ন। পরিকল্পিততো অবশ্যই। এইতো দুদিন পূর্বে গেলাম ময়মনসিংহ সে পথও একই রকম। আর কিশোরগঞ্জের হাওড় সড়কতো বিশ্ব সেরা দৃষ্টিনন্দন সড়ক গুলোর একটি হবে।

আরও একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় তা হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। অতিতে দেখেছি সড়ক নির্মাণের এক বছর বা বৃষ্টির এক সিজনেই আবার যেই-সেই অবস্থা। বর্তমানে অধিকাংশ সড়ক গুলো আরসিসি ঢালাই নির্মিত হচ্ছে। পাথর-রড-সিমেন্টের ঢালাই রাস্তা বোধকরি সহসাই ধুয়ে মুছে যাবে না। এতে সড়কগুলো দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই থাকবে। পাশাপাশি আধুনিক সরঞ্জামে রাস্তা নির্মাণের ফলে তা মশ্রিনও বৈকি। সরকারের এমন পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

৭ কেজি সোনাসহ আটক-১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : সাত কেজি সোনার চালানসহ হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটক যাত্রীর নাম মোহাব্বত আলী।

আজ বুধবার সকালে তাঁকে আটক করে ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম।

জানা গেছে, , মোহাব্বত আলী আজ সকালে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন। তাঁর কাছ থেকে সোনার ৬০টি বার পাওয়া যায়, যার ওজন ৬ কেজি ৯০০ গ্রাম।

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপপরিচালক মারুফুর রহমান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টম হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিমে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট নম্বর-ইকে-৫৮২–এ আসা যাত্রী মোহাব্বত আলীর কাছে লুকানো সোনার ৬০টি বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৬ কেজি ৯০০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি চলছে।