আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পদ বিতর্কিত করার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এই পদ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন- এমন অভিযোগের জবাবে শনিবার বক্তব্যে তা উড়িয়ে দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, আমি বলেছি সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করা উচিত মেধার ভিত্তিতে। কখনো আমার পছন্দে সেনাপ্রধান, বিচারক, আইজি অথবা জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরোর (এনএবি) প্রধান নিয়োগ হবেন, এটা চাইনি। আমি শুধু চেয়েছি মেধার ভিত্তিতে উত্তম মানুষটি পদে আসুন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) নতুন করে লংমার্চ করছে। এ উপলক্ষ্যে বক্তব্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শীর্ষ পদগুলোতে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা তাদের পছন্দের লোককে বসাতে চেয়েছে। এমন নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হলো ইসলামাবাদের আইজি। তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বর্তমান আইজি প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, তিনি যেহেতু দুর্নীতিবাজ তাই তিনি সবসময় তাকে (প্রধানমন্ত্রী) সেবা দিয়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য তিনি প্রতিটি বেআইনি কাজ করবেন। ইমরান খান বর্তমান জোট সরকারের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বর্তমানে যেসব চোররা আছেন তাদের জন্য দায়ী কে? তিনি বলেন, জনগণ এখন এ প্রশ্ন করছে। দেশের কি হতে যাচ্ছে, এর জন্য কে দায়ী তাতে ইতিহাসের কিছু করার নেই। তিনি বর্তমান সরকার ও তার প্রশাসনযন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। এটাই করা হয়েছে (সাংবাদিক) আরশাদ শরীফের ক্ষেত্রে। দেশ এখন এক হতাশায়। দেশবাসী জানতে চান, এভাবেই কি দেশ চলবে? তিনি আরও বলেন, এখন দেশের ইতিহাসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়। তাই তিনি জনগণকে পিটিআইয়ের লংমার্চে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। সরকার চালাচ্ছেন যারা তাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন- তারা কি পাকিস্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন নন? ওদিকে সেনাপ্রধান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির জন্য ইমরান খানের সরকারে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, এই পদ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে পিএমএলএন ও পিপিপি।
