আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। দেশটি জানিয়েছে, ইরানপন্থী এক সংগঠনকে টার্গেট করে ওই হামলা চালিয়েছে তারা। এক মার্কিন কন্ট্রাক্টরকে হত্যা এবং আরেক জনকে আহত করার জবাব হিসেবে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, প্রায়ই সিরিয়ায় থাকা মার্কিন সেনাদের টার্গেট করে হামলা চলে। ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। তবে এসব হামলায় মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না। তবে এবার উত্তর সিরিয়ার হাসাকাহ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে এক মার্কিন কন্ট্রাক্টরকে হত্যা করে ইরানপন্থী একটি সংগঠন। তারই প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
বৃটেনভিত্তিক একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ওই হামলায় ১১ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। পেন্টাগনের তরফ থেকে হতাহতের খবর দেয়া না হলেও, হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা।
পেন্টাগনের দাবি, যে ড্রোন দিয়ে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা হয়েছিল তা ইরানের তৈরি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির সঙ্গে ইরানের আইআরজিসি বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, আইআরজিসি’র সাথে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলির সাম্প্রতিক আক্রমণগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই এই প্রতিশোধমূলক হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করেছেন যে, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেব। যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পছন্দের সময় এবং জায়গায় প্রতিক্রিয়া দেখানো অব্যাহত রাখবে। কোনো গোষ্ঠী হামলা চালিয়ে দায়মুক্তি পাবে না।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর আজ জোরে এক মার্কিন হামলায় ছয় ইরান-সমর্থিত যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এছাড়া মায়াদিন শহরের কাছে একটি পোস্টে মার্কিন হামলায় আরও দুইজন যোদ্ধা নিহত হন। হামলা হয়, ইরাকের সীমান্তবর্তী শহর বোকামালেও। সেখানে একটি সামরিক পোস্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। সবগুলি হামলাই যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করেছে।
