×

রাশিয়া-বেলারুশ মহড়ায় পুতিন হুংকার

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : রাশিয়া তার ঘনিষ্ট মিত্র বেলারুশের সাথে বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে। ১০ দিনের ওই মহড়া শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের সেনারা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

আগে থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া ১ লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এখন বেলারুশের সঙ্গে ক্রেমলিনের সামরিক মহড়া নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে ইউক্রেন সরকারকে। এই মহড়ার জন্য গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে সেখানে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে মস্কো। ধারণা করা হচ্ছে, এ মহড়ায় ৩০ হাজার সেনা অংশ নেবে। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানও নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের সাবেক কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক আলেকসান্দার খারা আল–জাজিরাকে বলেন, রাশিয়া এই মহড়ার মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে, ইউক্রেন দখল করে নেওয়ার সক্ষমতা তাদের রয়েছে। এটাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নেওয়া উচিত।

২০১৪ সালে মস্কোপন্থী ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর সেই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এর জেরে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। এখন মস্কো ইউক্রেনে ‘পুতুল সরকার’ গঠন করতে দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যদিও ক্রেমলিন সেই অভিযোগ প্রথম থেকে অস্বীকার করে আসছে।

ইউক্রেনের এই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। ২০১৫ সালে এই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এই সীমান্তে রক্ষীরা বাংকারে অবস্থান করছেন। শীত থেকে বাঁচতে তাঁদের বেশ কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে।

রাশিয়ার ও ইউক্রেন সীমান্তের একটি এলাকা গোপতিভকা। রাশিয়ায় যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রুট এটি। এই সীমান্ত দিয়ে খুব কম গাড়িই ইউক্রেনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এই সীমান্ত এলাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের শহর খারকিভ। এই শহরের প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। এই শহরের মানুষ ইতিমধ্যেই রুশ হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তাঁরা এই ধারণা করে জীবনযাপন শুরু করেছেন, যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।

বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক মহড়া ইউক্রেন নিয়ে সংঘাতে ‘উত্তেজনা বাড়ানোর’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার এই মহড়াকে উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছি। এটা উত্তেজনা হ্রাসের কোনো পদক্ষেপ নয়।’